অনার্স ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ

অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীরা এখন বলছে যে, আমরা ভর্তি পরীক্ষা চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি ভর্তি পরীক্ষা না হোক। আমরা চাচ্ছি ভর্তি পরীক্ষাটা বাতিল হোক। আগে যেরকম অনার্সে সাধারণভাবে ভর্তি হতো জিপির উপর ডিপেন্ড করে, সেইভাবে ভর্তি হোক। আচ্ছা শিক্ষার্থীরা কি প্রথমেই এমনটা চেয়েছিল? শিক্ষার্থীরা কি এক সপ্তাহ আগেও এমনটা চাচ্ছিল? শিক্ষার্থীরা তো পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছিল।

এই যে অনার্সের ভর্তি পরীক্ষার্থীরা এই একটা পরীক্ষার্থীও আমার মনে হয় না যে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। হঠাৎ করে এনাউন্সমেন্ট আসলো ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী বলতে থাকলো যে আমাদের বেলা থেকে কেন এরকম হয়? 

আমাদের বেলা থেকে কেন ভর্তি পরীক্ষা নিবে? পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে বুঝালাম যে দেখো ভর্তি পরীক্ষা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে এডুকেশন সিস্টেমটা আছে একবারে নরবরের অবস্থা। এটা

টোটালি পাল্টে যাবে। তোমরাও তখন বুক ফেলিয়ে বলতে পারবে যে আমরাও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে একটা কলেজ পেয়েছি। আমরা কিন্তু আর ওই নরমালিভাবে ভর্তি হয় নাই। 

বারবার ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে মেসেজ দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বোঝানোর পর শিক্ষার্থীরা সে বিষয়টা বুঝতে পারলো। নিজেদেরকে প্রস্তুত করল ভর্তি পরীক্ষার জন্য। পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ পেল। এনাউন্সমেন্ট আসলো এটা ওটা সেটা অনেক কিছু। সবকিছু রেডি। শিক্ষার্থীরা বইও কিনেছে, প্রিপারেশনও নিয়েছে। এবং আমরা কয়েকদিন আগে আমাদের একটা কোর্স লঞ্চ করেছি মাত্র 100 টাকায়।

সেই কোর্সেও শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছে। প্রায় ধরতে গেলে 1500 প্লাস মেম্বার অলরেডি যুক্ত হয়ে গেছে। এই টোটাল শিক্ষার্থীরা যখন সর্বশেষে বলে যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা চাই না। তখন একটা শিক্ষার্থী কোন পর্যায়ে গেলে কোন পর্যন্ত গেলে এত টাকা ওয়েস্ট করার পর খরচ করার পর ,এত সময় নষ্ট করার পর, পরীক্ষার জন্য এত প্রস্তুত হওয়ার পরও বলে যে আমি ভর্তি পরীক্ষা চাই না। 

তার মন মাইন্ডে কোন জায়গায়তে আঘাত লেগেছে। যে একটা শিক্ষার্থী এখন চাচ্ছে যে ভর্তি পরীক্ষা না হোক। ঠিক সেম অবস্থায় আমরাও আছি। তিন তারিখে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। তিন তারিখে হলো না। ভর্তি পরীক্ষা হবে কত তারিখে? 24 তারিখে। আবার 24 তারিখের ডেট পরিবর্তন। এখন কবে হবে? 31 তারিখে। এই যে বারংবার ডেট পরিবর্তন এই ডেট পরিবর্তন কোন ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এরকম বারংবার ডেট পরিবর্তন করছে? কোন ইউনিভার্সিটি করছে? 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রকাশের আগে যে সমস্ত নোটিশ প্রকাশ পেয়েছিল তারা কি এভাবে ডেট পরিবর্তন করেছে? কোন কারণ ছাড়া এভাবে কেউ ডেট পরিবর্তন করেছে? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে ডেটগুলো পরিবর্তন করেছে এর একটা কারণও শিক্ষার্থীদেরকে দেখাতে পারে নাই। 

এটলিস্ট শিক্ষার্থীদেরকে কারণটা বলতে পারতো যে শিক্ষার্থীরা আমরা এই কারণে দেখো ডেটটা পরিবর্তন করলাম। শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারতো তারা বলতো যে হ্যাঁ একটা কারণ আছে ডেট পরিবর্তন করুক প্রবলেম নাই। 

কিন্তু কোন ইস্যু নেই কোন কারণ দেখা নেই। অনিবার্য কারণে ভর্তি পরীক্ষার ডেট পরিবর্তন করা হলো। তাও একবার না বারংবার করে ডেট পরিবর্তন করা হচ্ছে। এইটা কোন কথা? এই ধরনের ডেট পরিবর্তনের পর একটা শিক্ষার্থীর কি প্রিপারেশন আর সেই লেভেলের থাকবে যেই প্রিপারেশনটা সে এতদিন নিচ্ছিল। 

ভর্তি পরীক্ষার জন্য যে প্রস্তুত হলো এই প্রস্তুতিতে কতটা যে ব্যাঘাত ঘটেছে এটা তো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝবে না, যে প্রস্তুতি নিচ্ছে সে একমাত্র বুঝতে পারবে।  শিক্ষা বোর্ডকে আমি বলতে চাই যে ভর্তি পরীক্ষার ডেটগুলো পিছিয়েছেন ঠিক আছে , একটা কারণ শো করতে পারতেন তাও করেন নাই ঠিক আছে। কিন্তু 31শে  May’র পরে আর কোন ডেট পরিবর্তন করবেননা।

যদি আবারও ডেটপরিবর্তন হয় আমার মনে হয় না যে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এইরকম সেমভাবে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরই বারবার করে ডেট পরিবর্তন করা হয়েছিল HSC 24 পরীক্ষার সময় । আন্দোলনের পরবর্তীতে যখন বারবার একের পর এক ডেট পরিবর্তন একের পর এক রুটিন প্রকাশ করা হলো, পরবর্তীতে এই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল যে, আমরা আর কোন পরীক্ষায় দিতে চাই না।  কারণ আমরা নিজেদেরকে আর প্রিপেয়ার করতে পারবো না।

 

কয়বার একটা পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিবে ? কয়বার সেই প্রিপারেশন নষ্ট হবে ? যদি আবারও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ডেট পরিবর্তন হয়, এই শিক্ষার্থীরা আবারও মাঠে নামবে, যে আমরা ভর্তি পরীক্ষা চাই না । আমার মনে হয় না যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনো এরকম পরিস্থিতি হতে দিবে। আশা করি এর পরবর্তী আমাদের যে ডেটটা প্রকাশ পেয়েছে 31শে মে সেই তারিখে ভর্তি পরীক্ষাটা হবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই যে অনেক ধৈর্য ধারণ করেছ। এই ধৈর্য ধারণ শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষার জন্য না।

তোমরা সেই এসএসসি 22 থেকে ধৈর্য ধারণ করে আসছো। একের পর এক একের পর এক। যত যা কিছু আছে সবকিছু তোমাদের সাথে ঘটছে। ফাইনালি আরেকটাবার ধৈর্য ধারণ করো। 31শে মে পর্যন্ত।  

প্রিপারেশনে ঘাটতি ফেলো না। কারণ কি? প্রিপারেশনের ঘাটতি যদি ফেলো আর 31শে মে তেই যদি ভর্তি পরীক্ষা হয় তুমি যদি এই পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ না হতে পারো, পরবর্তীতে তুমি ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। তুমি উত্তীর্ণ না হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একচুল পরিমাণেও ক্ষতি হবে না।  ক্ষতি হবে সবকিছু তোমার। 

 

এইজন্য 31শে মে ডেটটাকে আবারো ফিক্সড ধরে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নাও । ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটা বেস্ট প্রিপারেশন নাও, আমরা যে সাজেশনগুলো তোমাদেরকে দিয়েছি, আমাদের প্রাইভেট গ্রুপে 100 টাকার কোর্স কিনে যারা ভর্তি হয়েছো সেই সাজেশন ফলো করো ইনশআল্লাহ ভর্তি পরীক্ষায় তুমি একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে । 

ভর্তি পরীক্ষার জন্য কারোরই মন মানসিকতা তেমন একটা নেই আমি জানি তারপরও 31শে May’কে কেন্দ্র করে আমরা আরেকবার একটু প্রস্তুতি নিই।

ইনশাআল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর কোন ডেট পরিবর্তন করবে না । যদি ডেট পরিবর্তন করে পরবর্তীতে দেখা যাবে । কারণ কি ডেট পরিবর্তন করলে একটা শিক্ষার্থীও চাইবে না আর ভর্তি পরীক্ষায় অংশন নিতে। 

 

অলরেডি তিনটা ডেট দিয়ে দিয়েছে পরীক্ষার এর পরবর্তীতে আমার মনে হয় না যে আর কোন ডেট পরিবর্তন হবে। আমরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হই কারণ কি এই রেজাল্টটা আমার, আমি একটা কলেজ পেলে সেই কলেজে আমাকেই পড়াশোনা করতে হবে যেহেতু রেজাল্টটা আমার সেক্ষেত্রে আমার মনটাকে আবারো একবার প্রস্তুত করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। 

তোমরা যে যার মত প্রস্তুতি নাও প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি ফেলো না। আমাদের সাজেশনগুলো দেখো। সাজেশনগুলো ফলো করো। সে অনুযায়ী পড়াশোনা করো। ইনশআল্লাহ ভর্তি পরীক্ষায় তুমি একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। 

 

1 thought on “অনার্স ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ”

Leave a Reply to Care Ecom Cancel Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top