শিক্ষক অন্য কাউকে দিয়ে খাতা দেখালে ২ বছরের জেল
২ বছরের জেল। পরিবার বা শিক্ষার্থী দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করালে
অনিয়মের অভিযোগ:
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে । অনেক শিক্ষক তাদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন কিংবা প্রাইভেট ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দিয়ে খাতা দেখিয়ে থাকেন। এমনকি তারা খাতায় নম্বরও প্রদান করেন, যা একেবারেই অবৈধ।
আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ:
আইন অনুযায়ী, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব শুধু প্রধান পরীক্ষক কিংবা অনুমোদিত পরীক্ষকের। তাদের ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করানো বা বৃত্ত ভরাট করানো পুরোপুরি বেআইনি। এটি পরীক্ষা পরিচালনা আইন, ১৯৮০ এর ৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শাস্তি:
যদি কেউ এই অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে:
- সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড,
শিক্ষা বোর্ডের সতর্কবার্তা:
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
১৯ জুলাই, শনিবার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
খাতা দেখার দায়িত্ব একজন পরীক্ষকের গোপনীয় আমানত। এটি অন্য কাউকে দিয়ে দেখানো অনৈতিক এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শিক্ষক অন্য কাউকে দিয়ে পরিক্ষার খাতা দেখালে ২ বছরের জেল
সতর্কতা?
বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। এরই মাঝে গোপন সূত্রে বোর্ডের কাছে অনিয়মের তথ্য আসতে শুরু করেছে। তাই সকল পরীক্ষককে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ অত্যন্ত গোপনীয় ও দায়িত্বশীল। তা শুধুমাত্র অনুমোদিত পরীক্ষকরাই করতে পারেন। অন্য কাউকে দিয়ে করালে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই সকল পরীক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।