বগুড়ায় ৮৮৩ এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট সংশোধনের নির্দেশ

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য, প্রতিবাদ ও প্রশ্ন। বিশেষ করে বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফলাফল নিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।

এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে বগুড়া জেলার ৮৮৩ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল পুনঃমূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও নম্বর এন্ট্রিতে গড়মিলের কারণে এই শিক্ষার্থীদের ফলাফল যথাযথভাবে প্রকাশ হয়নি।

 

 আন্দোলন অভিযোগে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন

ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হয়ে ওঠে।
১৭ জুলাই, অর্থাৎ গতকাল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে।
তাদের মূল দাবি ছিল—
✔ ভুল রেজাল্ট সংশোধন
✔ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার সুযোগ
✔ MCQ ও CQ মিলিয়ে মোট নম্বর বিবেচনায় পাস
✔ ফেল শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির সুযোগ

বগুড়া জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও শিক্ষার্থীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদে অংশ নেয়।

 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বোর্ডে ফেল শিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এর মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করেছে, তারা শুধু ১টি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও বা ৩টি বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে।

 

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য

একজন শিক্ষার্থী বলেন,
আমি বাংলা, ইংরেজি সব আগে দিয়েছি, এবার শুধু গণিত পরীক্ষা দিয়েছি। অথচ রেজাল্টে দেখা যাচ্ছে আমি দুটি বিষয়ে ফেল! এটা কীভাবে সম্ভব?”

অভিভাবকরাও বলছেন,
শুধু বগুড়া না, সারাদেশেই শিক্ষার্থীরা ন্যায্য মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করছে। এবার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও অস্বাভাবিকভাবে ফেল করেছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

 

বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

আমরা দৈনিক ইত্তেফাক এর আজকের নিউজ থেকে জেনেছি, বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান,
বগুড়া জেলার ফলাফলে কিছু গড়মিল পাওয়া গেছে। প্রযুক্তিগত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সংশোধিত রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।

 

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ভিত্তি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়নে গাফিলতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
৮৮৩ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধনের নির্দেশ বোঝায়- বিষয়টি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীরভাবে পর্যালোচনা করা দরকার।

শিক্ষার্থীরা চায় তাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার হোক- তাদের পরিশ্রম যেন সিস্টেমের ভুলে বৃথা না যায়।

এইটা আমরা দৈনিক ইত্তেফাক এর আজকের নিউজ থেকে জেনেছি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *