বন্যা পরিস্থিতিতে তিন বোর্ডের এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

 

বাংলাদেশের এইচএসসি পরীক্ষাগুলো এমন মৌসুমে হয়ে থাকে যখন ভারী বৃষ্টিপাত,বন্যা ইত্যাদির সময়। প্রতিবছর প্রায়ই শোনা যায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এই অঞ্চলগুলোতে বন্যা হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের কথা মনে আছে তোমাদের? দেশ ২য় বার স্বাধীন হওয়ার পরপরই শুরু হয়েছিল ভয়াবহ বন্যা। এবছরেও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি।

দেশব্যাপী অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

যে তিন বোর্ডে পরীক্ষা স্থগিত:

  1. কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
  2. বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
  3. বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

কুমিল্লা বোর্ডে আংশিক স্থগিত

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ফেনী, নোয়াখালীসহ মোট ৬টি জেলার কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ১০ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী অন্যান্য পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আলিম পরীক্ষা স্থগিত, প্রভাব সারাদেশজুড়ে

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আলিম পরীক্ষা বৃহস্পতিবারের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল পরীক্ষা স্থগিত

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১০ জুলাইয়ের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, এইচএসসি (ভোকেশনাল) এবং এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের পরীক্ষাগুলো পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চালিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের করণীয়

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট ও আমাদের Always Update ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। তোমরা প্রতিনিয়ত নোটিশ চেক করতে থাকবে। যাতে পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখটা জানতে পারো।

 

আমি মনে করি, এই অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষা কার্যক্রমে এমন বাধা সৃষ্টি হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও, সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোর দ্রুত সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। আগামী পরীক্ষাগুলো যেন ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে প্রত্যাশায় রয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *