এইচএসসি খাতা মূল্যায়নে গাফিলতি:
৮ পরীক্ষকের ব্যাখ্যা চাইল ঢাকা বোর্ড
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে দায়িত্বে থেকে দায়িত্বহীন আচরণের অভিযোগে ৮ জন পরীক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে দেখা যায়, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ওএমআর (OMR) শিটে বৃত্ত ভরাট করছে—যা মূলত পরীক্ষকের গোপনীয় দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
বিষয়টি সামনে আসতেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার (২০ জুলাই) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা চিঠিতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার গোপন অংশ- বিশেষ করে ওএমআর শিট মূল্যায়নের মতো দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে করানো গুরুতর অপরাধ, যা শিক্ষা বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
hsc exam update
যাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে:
১. মধুছন্দা লিপি – বারৈচা কলেজ, নরসিংদী (বাংলা প্রথমপত্র)
২. মো. জাকির হোসাইন – হাজী ইউনুছ আলী কলেজ, সাভার (বাংলা দ্বিতীয়পত্র)
৩. মো. রাকিবুল হাসান – ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গাজীপুর (বাংলা দ্বিতীয়পত্র)
৪. মুরছানা আক্তার – রোকেয়া আহসান কলেজ, ডেমরা (ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র)
৫. আবু বকর সিদ্দিক – মুন্সীনগর উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ (গণিত)
৬. সমীরময় মন্ডল – রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (গণিত)
৭. মো. সাখাওয়াত হোসাইন আকন – যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ইসলাম শিক্ষা)
৮. মহসীন আলামীন – সেন্ট যোসেফস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ (উচ্চতর গণিত)
চিঠির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তরপত্র মূল্যায়ন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গোপনীয় কাজ। এতে কোনো রকম গাফিলতি বা তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা মোটেই মেনে নেওয়া হবে না।
এই ঘটনাটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।