এসএসসি ২০২৫ ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৭০ নম্বর পেয়েও ‘ফেল’!
এসএসসি ২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই সারাদেশে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে আজ সকাল থেকে শতাধিক ফেল করা শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাঁদের দাবি—ফলাফল ঘোষণায় গুরুতর ভুল ও বৈষম্য হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থীর ঘটনা সামনে আসতেই এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর বক্তব্য অনুযায়ী, সে সৃজনশীল (CQ) অংশে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৬১ পেয়েছে, অথচ MCQ অংশে মাত্র ৯ পেয়েছে, ফলে সম্মিলিতভাবে পাস মার্ক না পাওয়ায় তাকে ফেল দেখানো হয়েছে। এই ফলাফলে সে প্রচণ্ড হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
আবারো আ’ন্দোলনে ফেল করা এসএসসি শিক্ষার্থীরা
তার ভাষ্যে—
“আমি প্রশ্নের সব উত্তর খুব ভালোভাবে লিখেছিলাম। CQ-তে ৬১ পেয়েছি শুনে নিজেই অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু MCQ তে ৯— এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এটা বৈষম্য ছাড়া কিছুই না।”
শুধু একজন নয়, আরও অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করছে, তাদের CQ ও MCQ এর মার্কিংয়ে বড় রকমের অসংগতি আছে। অনেকেরই দাবি, উত্তরপত্র মূল্যায়নে গাফিলতি কিংবা সফটওয়্যারজনিত সমস্যার কারণে এমন অস্বাভাবিক ফলাফল এসেছে।
অভিভাবকরাও পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই বোর্ড অফিসের সামনে ব্যানার হাতে অবস্থান নেন। তাদের দাবি, “ফেল” নয়— এটি একটি মার্কিং বঞ্চনা।
বিক্ষোভকারীদের ৪ দফা দাবি:
- অবিলম্বে ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে
- CQ ও MCQ মার্ক আলাদাভাবে দেখাতে হবে
- ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট প্রকাশ করতে হবে
- প্রয়োজন হলে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে
অনেকেই মনে করছেন, যদি শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে এটি শুধু একটি ফলাফলের ভুল নয়— এটি একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎকে অন্যায়ভাবে থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বোর্ড চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ফল পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও, শিক্ষার্থীরা চাইছে একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক মূল্যায়ন পদ্ধতি।
এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন যেন সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে সকলের কণ্ঠ এক হয়।