এসএসসি ২০২৫ ফেল করেছে কতজন
এসএসসি ২০২৫: ফেল ৬ লাখ + শিক্ষার্থী, গণিতে ভরাডুবি সব বোর্ডে
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই সংখ্যা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত।
ছাত্র-ছাত্রীদের ফল বিশ্লেষণ:
- ফেল করেছে মোট: ৬,০০,৬৬০ জন শিক্ষার্থী
- এর মধ্যে ছাত্র: ৩,২৪,৭১৬ জন
- ছাত্রী: ২,৭৫,৯৪৪ জন
এই তথ্য বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
সব বোর্ডেই গণিতে ভরাডুবি
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সব বোর্ডেই গণিতে পাসের হার আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় গণিতেই বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার (গণিত বিষয়ে):
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: ৮৮.৭২% (সবচেয়ে ভালো)
- রাজশাহী বোর্ড: ৮৬.৫২%
- যশোর বোর্ড: ৮৫.০২%
- সিলেট বোর্ড: ৮৩.১৭%
- চট্টগ্রাম বোর্ড: ৮১.৫৩%
- মাদ্রাসা বোর্ড: ৭৯.৭৩%
- ঢাকা বোর্ড: ৭৫.১৪%
- কুমিল্লা বোর্ড: ৭২.০১%
- দিনাজপুর বোর্ড: ৭১.৩৫%
- বরিশাল বোর্ড: ৬৪.৬২%
- ময়মনসিংহ বোর্ড: ৬৪.২৭% (সবচেয়ে খারাপ)
এসএসসি ২০২৫ এত শিক্ষার্থী ফেল কেন
একসাথে রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় নিচের বোর্ডগুলো একসাথে ফলাফল প্রকাশ করে–
- ঢাকা
- রাজশাহী
- কুমিল্লা
- যশোর
- চট্টগ্রাম
- বরিশাল
- সিলেট
- দিনাজপুর
- ময়মনসিংহ
- বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
ফলাফলের পেছনের কারণ:
শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টদের মতে, গণিতে খারাপ ফলাফলের পেছনে যেসব কারণ রয়েছে:
- শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি
- দক্ষ গণিতশিক্ষকের অভাব
- পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ না থাকা
- পাঠ্যবই না পড়ে গাইড ও কোচিং নির্ভরতা
- হাতে-কলমে গণিত শেখানোর ঘাটতি
ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, গণিতশিক্ষায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও হাতে-কলমে শেখানোর সুযোগ বাড়ানো না গেলে আগামী দিনেও একই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
২০২৫ সালে গণিতে পাশের হার
সংক্ষেপ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার হার অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যারা এবার কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি, তাদের জন্য পরবর্তী করণীয় হলো বোর্ড চ্যালেঞ্জ, অর্জিনাল মার্কশিট সংগ্রহ এবং পরবর্তী শিক্ষাজীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
শেষ কথা
যারা রেজাল্টে সন্তুষ্ট নন, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ডে চ্যালেন্জ আবেদন করে খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগ পাবেন।