এইচএসসি আইসিটি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন
সবার জন্য নম্বর চায় শিক্ষার্থীরা- বোর্ডের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ
HSC আইসিটি প্রশ্নে ভুল! শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি—সবাই পাবে নম্বর
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের প্রশ্নপত্রে দুটি ভুল এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার, ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ: সঠিক উত্তরের কোনো অপশন নেই
শিক্ষার্থীদের কথা অনুযায়ী, এবারের প্রশ্নপত্র পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কঠিন ছিল। এর মধ্যেই দুটি প্রশ্নে এমন অপশন দেওয়া হয়েছিল যেখানে সঠিক উত্তর ছিল না।
শিক্ষার্থীদের দাবি—এই ভুলের দায় যেন শিক্ষার্থীদের না নিতে হয় এবং উক্ত প্রশ্নদুটির নম্বর সবাইকে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ২২ নম্বর : XOR গেট ভুল অপশন
ঢাকা বোর্ডের ‘ক-সেট’ প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে,
২২ নম্বর প্রশ্নে ছিল—
উদ্দীপকে Y এর মান ০, যখন:
i. A = 1, B = 0
ii. A = 0, B = 1
iii. A = 1, B = 1
নিচের কোনটি সঠিক?
চারটির কোনোটিতেই সঠিক উত্তর ছিল না। কারণ, XOR গেট তখনই ০ আউটপুট দেয়, যখন ইনপুট দুটি একই হয়। এই হিসেবে প্রশ্নের অপশনগুলো ভুল।
এইচএসসি ২০২৫ আইসিটি ভুল প্রশ্ন
প্রশ্ন নম্বর ২৪: প্রোগ্রামিং আউটপুট নেই অপশনে
আরও একটি প্রশ্নে একটি প্রোগ্রামের আউটপুট চাওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন বলা হয়েছে, নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও
void main ()
} int i = 15, j j =j++ Printf (“%d %d”, i, j);
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি রান করলে i ও j এর মান কত হবে?
(ক) 15,15 (খ) 15,16 (গ) 16,16 (ঘ) 16,17
সঠিক আউটপুট হবে: 16, 15
কিন্তু এই চারটি অপশনের কোথাও ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্বিধায় পড়ে যায়।
শিক্ষকের মত
একজন অভিজ্ঞ আইসিটি শিক্ষক বলেন—
“প্রশ্ন দুটি কাঠামো অনুযায়ী ভালো হলেও, সঠিক উত্তর চারটি অপশনে না থাকায় এগুলোকে ভুলই বলা যায়।”
আরও বলেন তিনি, “এটা এমসিকিউ প্রশ্ন, এখানে শিক্ষার্থীর নিজে উত্তর লেখার সুযোগ নেই, তাই এটা বিভ্রান্তিকর।”
শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা: পরীক্ষা দিতে গিয়ে মানসিক চাপ
এক শিক্ষার্থী বলেন,
“প্রশ্ন হাতে পেয়েই আমি চাপ অনুভব করি। প্রশ্ন ভুল দেখে আমার আরও টেনশন বেড়ে যায়। আমরা চাই, ভুল প্রশ্নের নম্বর যেন সবাইকে দেওয়া হয়।”
HSC ICT question error full marks
অভিভাবকের ক্ষোভ: ভবিষ্যতে যেন এ ভুল না হয়
এক অভিভাবক বলেন,
” এমনিতেই কঠিন পরীক্ষা এইচএসসি । এর মধ্যে ভুল প্রশ্নপত্র তৈরি শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করেছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বোর্ড ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হতে হবে। এবং এই ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয়।
পাওয়া যায়নি বোর্ডের বক্তব্য
বিষয়টি জানতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।