এইচএসসি ২০২৪ উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিবে–শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

শিক্ষা একটি জাতির অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তি। তবে অসচ্ছল পরিবারের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথে পিছিয়ে পড়ে। সেই বাস্তবতাকে সামনে রেখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন প্রতিবছরের মতো এবারও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম ঘোষণা করেছে। এ বৃত্তি কেবলমাত্র অসচ্ছল ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা বর্তমানে স্নাতক বা সমমানের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত।

আবেদনের যোগ্যতা

• বিভাগীয় শহর/সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • বিজ্ঞান বিভাগ: জিপিএ ৫.০০
  • অন্যান্য বিভাগ: জিপিএ ৪.৮০
• সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • বিজ্ঞান বিভাগ: জিপিএ ৪.৮০
  • অন্যান্য বিভাগ: জিপিএ ৪.৫০

এছাড়া আবেদনকারীর বাবা-মা বা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় ২ লাখ টাকার বেশি হলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি প্রাপ্ত হলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

আবেদনের নিয়মাবলী

• নির্ধারিত আবেদনপত্রের ফরম শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের  শাখা থেকে অথবা ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।
• আবেদনপত্র পূরণের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (শিক্ষাগত সনদ, নম্বরপত্র, অভিভাবকের আয় সনদ ইত্যাদি) সংযুক্ত করতে হবে।
• পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি জমা দিতে হবে এই ঠিকানায়:

ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
‘শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার’
প্লট নং: ৪, ব্লক: সিডব্লিউএন (সি)
গুলশান এভিনিউ, গুলশান, ঢাকা-১২১২

• আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।

পূর্বের কার্যক্রম

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ইতিপূর্বে এসএসসি ও এইচএসসি উত্তীর্ণ শত শত শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ব্যাংকটি প্রায় ২৫০ জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে, যেখানে চার বছরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩১.৭৫ কোটি টাকা। এর আগে এসএসসি উত্তীর্ণ প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীও এ সুবিধা পেয়েছে।

শিক্ষাবৃত্তি ২০২৫

শিক্ষা বিস্তারে এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মেধাবীদের এগিয়ে নিতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যোগ্য শিক্ষার্থীদের উচিত সময়মতো আবেদন করে এই সুযোগ গ্রহণ করা। এ শিক্ষাবৃত্তি কেবল ব্যক্তিগত জীবনে নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।