কলেজ মাইগ্রেশন করার নিয়ম

বন্ধুরা কে কোন কলেজে গেল? মজা, মাইগ্রেশন আর বাস্তবতা-ভিন্ন অভিজ্ঞতা

একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষে অনেক শিক্ষার্থীর জীবনে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। কেউ পছন্দের কলেজে চান্স পেয়ে আনন্দে আত্মহারা, কেউ আবার মাইগ্রেশন বা দ্বিতীয় ধাপের আশায় অপেক্ষায়। এই সময়টাতে একদিকে যেমন থাকে উত্তেজনা, তেমনি বাস্তবতাও ধরা দেয় কঠিনভাবে।

বন্ধুরা ছড়িয়ে গেল বিভিন্ন কলেজে:

এসএসসি’র পর একসঙ্গে পড়ার স্বপ্ন থাকলেও বাস্তবে তা খুব কমই বাস্তবায়ন হয়। অনেকে চলে গেছে ঢাকা কলেজ, নটরডেম, হলিক্রস, ভিকারুননিসা, রাজউক কিংবা অন্য জেলা শহরের নামকরা কলেজে। আবার অনেকেই থেকে গেছে স্থানীয় কলেজে, বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত বা পারিবারিক বাস্তবতায়।

একজন ছাত্র বলে,
আমার সব বন্ধু ঢাকায় চলে গেছে। আমি স্থানীয় কলেজেই ভর্তি হয়েছি। শুরুতে খারাপ লাগলেও এখন মানিয়ে নিচ্ছি।”

মাইগ্রেশন: আশার আলো না নতুন অনিশ্চয়তা?

যারা প্রথম ধাপে পছন্দের কলেজে চান্স পায়নি, তারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপে অপেক্ষা করছে। আবার যারা চান্স পেয়েও বেশি ভালো কলেজের আশায় মাইগ্রেশনের আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছে।
“চান্স পেয়েছি, কিন্তু আরও ভালো কলেজে যেতে চাই। আবার ভয়ও পাচ্ছি – যদি পরে কোনো কলেজেই না পাই!”

মাইগ্রেশনের বিষয়টি তাই অনেক সময় আনন্দের চেয়ে মানসিক চাপে রূপ নেয়।

নতুন কলেজ, নতুন পরিবেশ: কে কেমনভাবে মানিয়ে নিচ্ছে?

নতুন কলেজে ভর্তি হয়ে কারও কারও অভিজ্ঞতা চমৎকার—নতুন বন্ধু, বড় ক্যাম্পাস, ভালো টিচার। আবার কেউ কেউ বুকে চেপে রাখছে হতাশা।

একজন ছাত্রী জানায়,
কলেজটা ভালো, কিন্তু পুরানো বন্ধুদের খুব মিস করি। নতুন বন্ধুরা ভালো, তবে আগের মতো খোলামেলা হওয়া যাচ্ছে না এখনই।”

কলেজ ভর্তির অভিজ্ঞতা

বাস্তবতা: পড়াশোনা, কোচিং আর চাপ

নতুন কলেজে ভর্তি মানেই শুরু পড়াশোনার নতুন চাপ। অনেক কলেজেই ক্লাসের পাশাপাশি শুরু হয়ে গেছে কোচিংয়ের চাপ, পরীক্ষার প্রস্তুতি। সবার মুখে একটাই কথা –
এইচএসসি টার্গেট, এখন থেকেই সিরিয়াস হতে হবে।”

বন্ধুত্বের গল্পগুলোর শেষ নেই

ফোনে, মেসেঞ্জারে বা ইনবক্সে এখন চলছে “তুই কোন কলেজে?”, “ক্লাস কেমন?”, “টিচার কেমন পড়ায়?” – এসব কথা।

বন্ধুরা কে কোন কলেজে গেল – এটা শুধু তথ্য নয়, এর মধ্যে জড়িয়ে আছে আবেগ, অভ্যাস, স্বপ্ন আর বাস্তবতা। কলেজ জীবনের শুরুটা যেমন মজার, তেমনি এটি অনেক বড় সিদ্ধান্তের সময়ও। তাই সবাইকে চাওয়া-পাওয়ার মাঝখানে নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *