বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার নিয়ম
এইচএসসি 2025 সালের পরীক্ষার্থীরা আজকে আমি তোমাদের বাংলা দ্বিতীয় লিখিত অংশ অর্থাৎ নির্মিত অংশের গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস নিয়ে কথা বলবো। সেটা হচ্ছে বৈদ্যুতিন চিঠি। সাধারণত বৈদ্যুতিন চিঠি এমনিতেই সহজ, কঠিন কিছু না । সহজ আমি এই কারণেই বলব, কারো যদি ইংরেজিতে ইমেইল লেখার কোন অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, অবশ্যই অভিজ্ঞতা আছে, কারণ কি আমরা এত বছর যাবত ইমেইলটাই লিখে আসছি । ইমেইল মানেই বৈদ্যুতিন চিঠি। সেক্ষেত্রে আমরা বাংলাতেও সেম কোয়ালিটিতে লিখব।
চিঠি নিয়ে এতদিন যার যত কনফিউশন ছিল আমি কথা দিচ্ছি, যে আজকের পর তোমার টোটাল কনফিউশন দূর হয়ে যাবে। তখন তুমি অন্যজনকে শিখাতে পারবে যে বৈদ্যুতিন চিঠি এভাবে লিখতে হয়।
Email Writing Tips
এই ছবিতে যে চিঠিটা দেখতে পাচ্ছ, এটা হচ্ছে একটা বৈদ্যুতিন চিঠি। এই একটা মাত্র ফরমেট দেখলে তোমাকে আর বৈদ্যুতিন চিঠি পড়তে হবে না। তুমি যে কোন বৈদ্যুতিন চিঠি পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে একবারে সহজে কমপ্লিট করতে পারবা।
বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার প্রসেসটা একদমই ইজি। তুমি ইংরেজিতে যেভাবে ইমেইল লিখো, সেমভাবে বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার সময় অর্থাৎ বাংলাতে লেখার সময়ও তোমাকে ইমেইলের প্রথম যে কাঠামোটা আছে সেটা তোমাকে লিখতে হবে। যেমন From, To, CC, Subject এগুলো তোমাকে লিখতে হবে।
বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার পদ্ধতি
প্রথম ছবিতে দেখতে পাচ্ছ, যে আমরা টোটালি চারটা ঘর একেছি। এভাবে তোমাকেও ঘর একে নিতে হবে। তুমি যদি মনে করো, না আমি ঘর আগে আকাবো না। আমি আগে লিখতে চাই। সেক্ষেত্রে লিখতে পারো। তবে বেটার হবে ঘরটা আকানোর পর পরবর্তীতে লেখাটা স্টার্ট করা। তুমি এভাবে চারটা ঘর আকানোর পর প্রথম ঘরে তুমি লিখবা হচ্ছে From. From টা হচ্ছে তুমি, তোমার কাছ থেকে এই চিঠিটা আরেকজনের কাছে পাঠাবে। From এর ঘরে তোমার নিজস্ব ইমেইল এড্রেসটা বসাতে হবে, এবং ইমেইল এড্রেস লেখার প্রসেসটা একদম ইজি। তোমার প্রশ্নে যদি তোমার নাম উল্লেখ করা থাকে যে তুমি হৃদয়। সেক্ষেত্রে হৃদয় দিয়ে ইজিলি ইমেইল এড্রেস লিখতে পারবে। তুমি লিখবে [email protected] সহজে হয়ে গেল। তোমার নাম যদি উল্লেখ করা থাকে করিম। তুমি লিখবে [email protected] সহজেই হয়ে গেল।
এবং খেয়াল করবে যে জিমেইল এড্রেস লেখার ক্ষেত্রে কোন বড় হাতের অক্ষর যেন না হয়। এবং অক্ষরের মাঝে কোন স্পেস যেন না হয়। অর্থাৎ roni লিখলে ছোট হাতের অক্ষরে লিখবে। 12 এর মাঝে কোন স্পেস হবে না। পুরো ইমেইল এড্রেসের ক্ষেত্রে কোন স্পেস হবে না। আমি উপরে লিখেছি [email protected] এরকম দিলে মাঝখানে কোন স্পেস থাকবে না। তুমি যে ডট দিবে ডটের মাঝখানেও কোন স্পেস থাকবে না। com এর মাঝখানেও কোন স্পেস থাকবে না। অর্থাৎ স্পেস বিহীনভাবে লিখবে এবং সবগুলো ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে লিখবে।
বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার উদাহরণ
প্রশ্নে যদি উল্লেখ করা থাকে যে তুমি হৃদয়। সেক্ষেত্রে তুমি From এ তোমার জিমেল এড্রেসটা দিয়ে দিবে যে [email protected] হচ্ছে তুমি । আর To হচ্ছে যার কাছে এই ইমেইলটা পাঠাবে, তার ইমেইল এড্রেসটা দিবে। তোমার বন্ধুর নাম যদি প্রশ্নে উল্লেখ করা থাকে “রনি”,তাহলে তুমি [email protected] লিখে দিবে ।
ইমেইল এড্রেস বা জিমেল এড্রেস রেডি করার প্রসেসটা একদমই ইজি। পরবর্তীতে CC লিখতে হবে এবং এর জন্য তোমাকে একটা ঘর ফাঁকা রাখতে হবে। এবং ওই ঘরে অন্য কিছু লেখার প্রয়োজন হবে না, লাস্ট সাবজেক্টটা অবশ্যই লিখতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বৈদ্যুতিন চিঠিটা তোমাকে লিখতে হবে, সেই সাবজেক্টটা তোমাকে অবশ্যই দিতে হবে। এখানে তুমি বাংলাতে লিখবে, যে বিষয়ে তোমাকে বৈদ্যুতিন চিঠিটা লিখতে বলা হয়েছে সেই বিষয়টা তুমি বাংলাতে লিখবে।
এখানে স্ক্রিনে যে বৈদ্যুতিন চিঠিটা দেখতে পাচ্ছ এইটা হচ্ছে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রিলেটেড, যে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে একটা বৈদ্যুতিন চিঠি। সাবজেক্টের এখানে দেওয়া হয়েছে, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার হয়ে গেল। এইভাবে প্রশ্নে যে সাবজেক্টটা উল্লেখ করা থাকবে বা যে রিলেটেড বৈদ্যুতিন চিঠিটা লিখতে হবে সেটা তুমি সুন্দর করে এখানে লিখে দিবে। প্রশ্ন দেখে দেখে এখানে সাবজেক্টটা বসিয়ে দিবে। আমার চারটা ঘর কমপ্লিট। চারটা ঘর শেষ। এই ঘরগুলো তোমাকে ইমেইল লেখার আগে বা বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার আগে সুন্দর করে তোমাকে লিখে নিতে হবে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারে ভাই পেন্সিল দিয়ে লিখতে পারবো কিনা?
সাধারণত আমরা ঘর লেখার ক্ষেত্রে পেন্সিলটা ইউজ করলে সবচেয়ে বেটার হয়। কারণ কি? কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে সেগুলো কাটাকাটি করা যায়। পরবর্তীতে আমার এখন মেইন কাঠামোটা শুরু হবে, অর্থাৎ ইমেইল লেখার মেইন কাঠামোটা। আচ্ছা বলতো ইংরেজিতে ইমেইল লেখার সময় যখন উপরে From, To, CC, Subject লিখতে, তারপরে কি লিখতে?
Dear Ridoy, বা Dear Roni এভাবে অবশ্যই শুরু করতে। বাংলাতেও সেম তাই। তুমি রনির কাছে জিমেইলটা লিখছো, সেক্ষেত্রে তুমি লিখেছো প্রিয় রনি,তুমি যদি হৃদয়ের কাছে লিখতে তাহলে তুমি লিখতে প্রিয় হৃদয়, তুমি যদি জসীমের কাছে লিখতে তুমি লিখতে প্রিয় জসীম, তুমি যেই নামটা যার কাছে লিখছো এই বৈদ্যুতিন চিঠিতে তার নামটা দিয়ে দিবে। প্রশ্ন দেখে দেখে বসিয়ে দিবে যদি প্রশ্ন না থাকে তুমি নিজের মত করে বসিয়ে দিবে পরবর্তীতে আমরা মেইন কাঠামোটা শুরু করছি।
বাংলাতে, ইংরেজিতে লিখতে গিয়ে অনেক প্রবলেম হয়। বাংলাতে লেখাও কি প্রবলেম? একদমই না। যে বিষয়ে আমাকে বৈদ্যুতিন চিঠি লিখতে হবে, সেই রিলেটেড কয়েকটা সেন্টেন্স এখানে দিয়ে দিব।
বৈদ্যুতিন চিঠি লেখার নমুনা
আজ এক সেমিনারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জেনে এলাম। অত্যাধিক মোবাইল ফোনের ব্যবহার আমাদের শরীর ও মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অধিক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যায় করে গেম খেলে, মোবাইল ফোনে বেশিক্ষণকথা বলে, আমরা আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলছি। এছাড়াও মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস আমাদের গোপনীয়তা নষ্ট করছে। তাই মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে এবং অন্যদের সচেতন করবে।
হয়ে গেল। যেই বিষয়ে আমাকে বৈদ্যুতিন চিঠি লিখতে বলা হবে, সেই রিলেটেড ছোট্ট করে চার থেকে পাঁচ লাইন বা ছয় থেকে সাত লাইন আমি লিখে দিব। প্রিয় রহিম করিম লেখার পরে সুন্দর করে লিখে দিলে বৈদ্যুতিন চিঠি শেষ। লাস্টে লিখবে ইতি অমুক, কারণ কি! তুমি বৈদ্যুতিন চিঠিটা লিখেছো তোমার নাম হৃদয়, ইতি হৃদয়। শেষ, উপরে প্রিয় রনি লেখার পর, যে রিলেটেড আসছে সুন্দর করে বানিয়ে ছয় লাইন লিখ। লাস্টে লিখব ইতি হৃদয়।
এই একটা ফ্রর্ম মাথায় নিয়ে যেও পরীক্ষার হলে আর কিছু করা লাগবে না। শুধুমাত্র উপরে From, To, CC, Subject এই যে চারটা ঘর এগুলো লিখতে হবে। জাস্ট এইটুকু মনে রাখলে হবে। পরবর্তীতে আর কিছু মনে রাখার প্রয়োজন নাই। যে বিষয়ে আসে তুমি বানিয়ে সহজেই লিখতে পারবে। আশা করি বৈদ্যুতিন চিঠিটা লিখার নিয়ম বুঝাতে পেরেছি।