২০২৫ সালে কারা বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে
জিপিএ-৫ পেলেন ১,৩৯,০৩২ জন এএসসি ২০২৫, এগিয়ে অছে মেয়েরা
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, দুপুর ২টায় এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে । ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বড় ধরনের পতন
১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন ২০২৪ সালে সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন । সেই তুলনায় ৪৩ হাজার ৯৭ জন কম এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা । অর্থাৎ, এবারের ফলাফলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণকারী সংখ্যা
১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন। এর মধ্যে:
- ছাত্রী: ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন
- ছাত্র: ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন
বোর্ডভিত্তিক অংশগ্রহণ
পরীক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্ন বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়। অংশগ্রহণ ছিল নিম্নরূপ:
- সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডে: ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন
- মাদরাসা বোর্ড (দাখিল): ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন
- কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন
GPA 5 পেল কতো জন ২০২৫ SSC
পরীক্ষার সময়সূচি
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল, শেষ হয় ১৩ মে। পরীক্ষার পুরো সময়জুড়েই কঠোর নিরাপত্তা এবং নিয়ম মানা হয়।
অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা
পরীক্ষার প্রথম দিনেই সারাদেশের ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল । পরবর্তীতে অনুপস্থিতির সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
এসএসসি ২০২৫: পাসের হারে বড় ধাক্কা, এগিয়ে ছাত্রীরা টানা ১০ বছর
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৮.৪৫ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে গত বছর ২০২৪-এ এই হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ, যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে—এ বছর পাসের হারে এক বিশাল পতন ঘটেছে।
ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায়।
এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ, এবারও মেয়েরা ছেলেদের থেকে ভালো ফল করেছে। এই ধারাবাহিকতায় টানা ১০ বছর ধরে পাসের হারে ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার রেকর্ড অটুট থাকলো।
এসএসসি ২০২৫ জিপিএ-৫ কতজন পেয়েছে
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে মেয়েরা
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মেয়েরা জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। যা শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রগতির একটি ইতিবাচক দিক।
এই বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমে গেলেও, এটি শিক্ষার গুণগত মান ও বাস্তব মূল্যায়নের লক্ষণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মেয়েদের অগ্রগতি এবং প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।