এইচএসসি 2025 বাংলা ১ম পত্র খাতা দেখা নিয়ে সুসংবাদ

বাংলা ১ম পত্র

এইচএসসি 2025 সালের পরীক্ষার্থীরা, বাংলা প্রথম পরীক্ষাটা আমাদের টোটালি শেষ । বিভিন্ন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন কোয়ালিটির প্রশ্ন। এই বাংলা প্রথম পরিক্ষায় লিখে শেষ করতে পারো নাই, লিখতে গিয়ে কাটাকাটি হয়েছে যাদের লেখা প্রচন্ড পরিমাণে খারাপ হয়েছে, এই ধরনের বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন; অনেকে পাস করতে যে নাম্বারটা দরকার, তার চেয়ে কিছু পরিমাণ বেশি এনসার করে আসছে, আবার অনেকের MCQ নিয়ে প্রবলেম, পাশ করবে কি ফেল করবে এই নিশ্চয়তাই দিতে পারছে না।

এ প্লাস পাবো কিনা, পাশ করব কিনা,নাম্বার দিবে কিনা, শিক্ষক কিভাবে খাতা দেখবে এত প্রশ্নের মাঝে জাস্ট ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে দিব। যে পরীক্ষাটা চলে গেছে, এই পরীক্ষা নিয়ে তুমি যত ইচ্ছা চিন্তা করো যত ইচ্ছা ভাবো কিঞ্চিত পরিমাণ তোমার খাতার পরিবর্তন কি তুমি করতে পারবে? করতে পারবে না।

যেই বাংলা প্রথম পরীক্ষা নিয়ে এত চিন্তা ভাবনা করছো, অথচ পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে এর চেয়ে খারাপ একটা ইফেক্ট পড়বে, দেখবে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো আরো খারাপ হয়েছে, অথচ বাংলা প্রথম পরিক্ষায় তুমি ভালো রেজাল্ট করে গেছো। কারণ কি, বাংলা প্রথম খাতা শিক্ষকরা ওইভাবেই দেখে যাতে একটা শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করতে পারে।
অথচ তুমি এই সাবজেক্টটা নিয়ে টেনশন করছো, বাংলা প্রথম খাতা দেখা নিয়ে কিছু তথ্য দিব, যার প্রত্যেকটা তথ্যই তোমাদের জন্য সুখবর এবং প্রত্যেকটা তথ্য তোমাকে বোঝাবে যে বাংলা প্রথম পত্র নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন আছে। বাংলা প্রথম পত্রের খাতাগুলো যখন শিক্ষকরা দেখে উনারা দেখার সময় কয়েকটা বিষয় খেয়াল করে, এক হচ্ছে শিক্ষার্থীর হাতের লেখার একটা সৌন্দর্য । সৌন্দর্য লেখার নিয়ম তো জানো? যে আমাদের নাম্বার, প্রশ্ন, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক করে আমাদের এক কথায় উত্তর শেষ করে খাতাই দুইটা পার্ট করে লিখতে হবে।

দুইটা পার্ট যদি সুন্দর করে লেখ, একটা শিক্ষার্থীর হাতের লেখা খারাপ হোক কিন্তু লাইনগুলো সোজা হয়েছে, লেখার একটা সৌন্দর্য আছে। ”খ” নাম্বার প্রশ্নটা যেভাবে লিখতে হয়,সেভাবে লিখলে যে নাম্বার পাবে শিক্ষক এক নাম্বারও কাটতে পারবে না। তুমি লেখা কেটে দিয়েছো বা তুমি হাতের লেখা খারাপ করেছ এগুলো তেমন একটা ফ্যাক্ট না।

আগে অনেক সময় ভাবা হতো, যে আমাদের হাতের লেখা যদি খারাপ হয় সেক্ষেত্রে শিক্ষক দুইটি নাম্বার কমিয়ে দিবে বা যদি বানান ভুল হয় সেক্ষেত্রে নাম্বার কমিয়ে দিবে। দেখো এই বিষয়গুলো এখনকার সময়ে ততটা গুরুত্ব বহন করে না। একটা শিক্ষার্থী যদি সুন্দরভাবে লিখতে পারে, যেভাবে লিখতে হয় সেভাবে যদি লিখে আসতে পারে, সেখানে কিন্তু শিক্ষার্থী পুরো নাম্বার পায় হ্যাঁ, শিক্ষক একটা শিক্ষার্থীকে 10 এর ভিতর 10 দেয়।  অবশ্যই দেয় কেন দিবে না? সে যদি 10 পাবার যোগ্য হয় অবশ্যই তাকে 10 দিবে।

শিক্ষক তোমার এখান থেকে এক,দুই নাম্বার কেটে দিয়ে তার কোন লাভ আছে? তুমি ভালোভাবে লিখেছো, সুন্দর করে লিখেছ, সেখান থেকে এক, দুই নাম্বার কেটে শিক্ষক কি বাসায় নিয়ে যাবে? শিক্ষকের এই নাম্বার দিয়ে কোন কাজ আছে? শিক্ষক ট্রাই করবে একটা শিক্ষার্থী যেন ভালো একটা রেজাল্ট করে তার লেখার মাধ্যমে সে যতটুকু লিখেছে, তার উপর ডিপেন্ড করে একটা বেস্ট রেজাল্ট করে,শিক্ষক সেভাবেই নাম্বার দেয়। এইজন্য শিক্ষক কিভাবে নাম্বার দিবে, এই বিষয়গুলো নিয়ে টেনশন করতে হবে না। শিক্ষক তোমাকে যথেষ্ট ভালো পরিমাণে নাম্বার দিবে, যাতে তুমি ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারো।

তবে তোমার খাতায় সেই বিষয়গুলো থাকতে হবে যে যার উপর ডিপেন্ড করে শিক্ষক তোমাকে ভালো নাম্বার দিবে। তাহলে তুমি এই বাংলা প্রথম পত্র খাতা দেখার কোন বিষয়টা নিয়ে টেনশন করছো? MCQ নিয়ে টেনশন হচ্ছে? সাধারণত পরীক্ষা দিয়ে আসার পর আমরা সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করি, সে ভুলটা হচ্ছে আমরা তো MCQ নিজে সলভ করি না। আমি রিকোয়েস্ট করব প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী যেন MCQ গুলো বই থেকে বের করে করে সলভ করে। সেক্ষেত্রে তুমি 100% সিওর হতে পারবে যে, MCQ তোমার 25 টা হয়েছে নাকি 30 টা হয়েছে নাকি পাস করার জন্য মিনিমাম 10 টা হয়েছে নাকি 12 টা হয়েছে।

আমরা কি করি যে, আমরা অনলাইনের বিভিন্ন জায়গা থেকে MCQ উত্তর মিলাই । মিলানোর পর একেবারে পুরা টেনশনে পড়ে যাই যে আমার পাশ করতে 10 প্রয়োজন MCQ হয়েছে নয়টা,তাহলে শিক্ষাবোর্ড এক দিয়ে কখনো পাশ করিয়ে দিবে? দিবে না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা করার পর যখন দেখি আমি তো ফেল, পরবর্তী পরীক্ষাগুলো একেবারে টোটালি খারাপ হয়। পরীক্ষার রেজাল্টের পর দেখে সে ভেবেছিল নয়টা MCQ হবে, পরীক্ষার রেজাল্টের পর ঠিকই পাস চলে আসছে। শিক্ষা বোর্ড পাস করিয়ে দিয়েছে, একদমই না। তুমি তোমার নিজের যোগ্যতায় পাস করেছো। তুমি অবশ্যই 10 পেয়েছিলে যার জন্য তুমি MCQ তে পাস করেছো। অথচ তুমি নিজেকে ফেল হিসেবে ধরে নিয়েছিলে।

অথচ তোমার বাংলা প্রথম পরীক্ষাটাই ভালো হয়েছে। অর্থাৎ আমরা অনলাইন থেকে যে MCQ গুলো নেই Facebook বা YouTube থেকে সেখানে যে 100% কারেক্ট সমাধান আছে এই গ্যারান্টি কিন্তু তোমাকে কেউ দিতে পারবে না। একটা MCQ সঠিক অ্যানসার করেছ, ওইখানে সমাধানের ভুল থাকতে পারে। পরবর্তীতে ওই MCQ টার জন্য তুমি ভাবছো যে তুমি ফেল গেছো, কিন্তু রেজাল্টের পর দেখা যায় ঠিকই পাস করে গেছো।

এইচএসসি 2025

এজন্য কখনো নিজে মিলানো ছাড়া উত্তরগুলো নিজে সলভ করা ছাড়া অন্যের উত্তর দেখে 100% সিওর হবে না যে তুমি ফেল করবে বা তোমার এই প্লাসটা মিস হবে। এই ধরনের কোন চিন্তাভাবনা করা যাবে না। সবকিছু পজেটিভ থিংক করতে হবে। তাহলে অবশ্যই তোমার সাথে পজেটিভই হবে। খাতা দেখার বিষয়গুলো নিয়ে একদমই টেনশন করবে না। শিক্ষকরা যথেষ্ট ভালো ভাবে খাতা দেখে, একটা শিক্ষার্থী যা লেখে তার উপর ডিপেন্ড করে যেন একটা বেস্ট রেজাল্ট করতে পারে সেই চেষ্টাই শিক্ষকরা করে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরই এই বাংলা প্রথম খাতা কিভাবে দেখা হবে, কিভাবে নম্বর দিবে, আমি যেভাবে লিখেছি তার উপর বেস্ট নাম্বার পাবো কিনা? এই বিষয়গুলো চিন্তাভাবনা করা আপাতত বাদ দেওয়া উচিত।

কারণ কি? বাংলা প্রথম পত্রে প্রায় শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট পায়। শিক্ষার্থীরা যেভাবে লেখে বা যতটুকু লেখে তার উপর ডিপেন্ড করে শিক্ষকরা যথেষ্ট ভালো পরিমাণে নাম্বার দেয়। এইজন্য বাংলা প্রথম পত্র খাতা দেখা নিয়ে আমরা একবারে টেনশন করবো না। সবার বাকি পরীক্ষাগুলো যেন ভালো হয় সেই দোয়াই করি সকলের জন্য। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top